টেকনাফ বন্দর দিয়ে বস্তা বস্তা পেঁয়াজ আমদানি হলেও বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •

পেঁয়াজের অতিরিক্ত দামের কারণে ত্রেতারা দিশেহারা (ছবি প্রতিকী)

টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকার পরও সারাদেশে পেঁয়াজের বাজারে দামের আগুন লেগেই আছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন ক্রেতারা।

টেকনাফ স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছে ঘুর্নিঝড় ‘বুলবুল’এর প্রভাব, সাগর উত্তাল,বৈরী আবহাওয়ার কারনে ২/৩ দিন যাবত মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজবাহী কোন ট্রলার বন্দরে আসতে পারেনি। বর্তমানে আগের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি অনেকটা কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

তবে স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগের তথ্য সূত্রে দেখা যায়, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি আগের মত স্বাভাবিক রয়েছে। চলতি মাসের ১লা নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে টেকনাফ বন্দরে ১১হাজার, ৫৩২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সেই হিসাবে গড়ে প্রতিদিন ৭৬৮ দশমিক ৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

এদিকে গত অক্টোবর মাসে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ
আমদানি হয়েছিল ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিকটন, দৈনিক গড়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৯৪ দশমিক ৭৭ মেট্রিক টন। গত অথচ মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমান পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকার পরও বাজারে পেঁয়াজের মুল্য কমানো যাচ্ছেনা।

এতে ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন অনেকে। সারা দেশে পেঁয়াজের দামের উর্ধ্বগতি লেগে থাকলেও টেকনাফের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কম।

টেকনাফ বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা কেজি অতিক্রম করার পরও আমরা ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছি। অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়ার আসায় আমরা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করিনি।

এব্যাপারে টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরে মাত্র ২দিন পেঁয়াজ আসা বন্ধ ছিল। এছাড়া অন্যান্য দিন পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক ছিল এবং এখনো আগের মতো মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছে ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি আমরা অন্য পণ্য খালাস করার আগে বন্দরে আসা পেঁয়াজভর্তী ট্রলার গুলো দ্রুততম সময়ে খালাস করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।